বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির বিরুদ্ধে একটি কেন্দ্র করে গোপন প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এই প্রচারণায় দেখানো হচ্ছে যে তারা সংস্কারের বিরোধী, অথচ বাস্তবে বিএনপি বহু আগে থেকেই দেশের জন্য রূঢ় রাজনৈতিক সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, “আসলেই আমরা ৩১ দফা, ২৭ দফা সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছি, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য অবশ্যৈতিক সংস্কার চেয়েছি”—এবং “কেবল বিএনপিকে দোষারোপ করেই ঐক্য প্রতিষ্ঠা হবে না”।
ঠাকুরগাঁওয়ের নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে একটা ‘ভুল ধারণা’ ছড়ানো হচ্ছে—যেখানে বলা হচ্ছে “বিএনপি আগে নির্বাচন চায়, তারপর সংস্কার”, অথবা “বিএনপি সংস্কার চায় না”। এসব দেখে তিনি মনে করেন, এটি একটি কুচক্রীমহলের গোপন ষড়যন্ত্র, যা বিএনপির সংস্কার-মুখী অবস্থানকে গुमরাহ করছে।
ফখরুল আরও ব্যাখ্যা করেন, সরকারহীন প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তিনটি ক্ষেত্রেই—নির্বাচন ব্যবস্থায়, বিচার বিভাগে এবং আইনশৃঙ্খলা এগুলোকে সংস্কার করা যেমন জরুরি, তেমনি বিএনপি সেই সংস্কারই মেনে এসেছে । তাঁর মতে, এই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মধ্য দিয়েই গঠন করা হবে একটি শক্তিশালী ও গণতান্ত্রিক সরকার।
ফখরুলের ভাষ্য থেকে স্পষ্ট, বিএনপি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ই কঠোরভাবে নাকচ করে নি; বরং তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও ন্যায়ী নির্বাচনের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তাবগুলো গঠনবদ্ধভাবেই বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছে।