যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক ২০২৫ সালের ৫ জুলাই তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ ঘোষণা দেন তিনি “আমেরিকা পার্টি” নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন। মাস্ক বলছেন, দেশে মুদ্রাস্ফীতি, বাজেট ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দুই-দলীয় বিন্যাস (ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান) জনমতের বহুমুখী প্রতিফলন সম্ভব করছে না। এক জরিপে দুই-তৃতীয়াংশ জনপ্রায় পছন্দ জানানো হয়েছিল নতুন দল গঠনের—তা নিয়েই এগিয়েছেন তিনি।
মাস্কের পোস্ট অনুযায়ী, “আমাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেয়ার” জন্য এটি প্রয়োজন, কারণ দেশ ইতিমধ্যে “একদলীয় ব্যবস্থার দিকে ধাবিত” হয়েছে। তার যুক্তি, ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকানরা ক্ষমতার অপচয় ও দুর্নীতির মাধ্যমে জাতিকে দেউলিয়ার পথে ঠেলে দিয়েছে।
তবে এটিকে ফেডারেল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। মাস্ক স্পষ্ট করেননি, দলের নেতৃত্ব কে করবে বা দলীয় কাঠামো কেমন হবে—এই বিষয়গুলো এখনও স্পষ্ট হয়নি।
এই ঘোষণার পটভূমিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মাস্কের দ্বন্দ্ব উত্তপ্ত হয়েছে। ট্রাম্পের “বিগ বিউটিফুল বিল” নামের ব্যয় ও করছাড় বিল পাসের পর মাস্ক তার বিপক্ষে সরব হন এবং ট্রাম্প তার কোম্পানিগুলোর ফেডারেল ভর্তুকি বাতিলের হুঁশিয়ারিও দেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এক ধনী উদ্যোক্তা তৃতীয় দল তৈরি করার প্রচেষ্টা অবশ্যই সেরা সুযোগ নয়—কারণ দীর্ঘ সময় ধরে যেন একে ‘ট্রাম্প-বিরোধী’ চাপ প্রয়োগ বা মধ্যপন্থীদের মোড়ে নজর কাড়ায় । তবে এ ধরণের গভীর এবং অর্থায়িত পদক্ষেপ মার্কিন রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন দাঙাচাপা তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রেক্ষিতে।