আন্দোলন-সংগ্রামের উত্তাল সময় পেরিয়ে এসে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব একটি আবেগঘন ও আলোচিত বার্তা দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, “৩৬ জুলাই শহীদ হওয়ার খুব কাছাকাছি ছিলাম। শাহাদাতের সুযোগ এলে পিছপা হবো না।” তিনি আরও বলেন, “জুলাই এদেশে লক্ষ-কোটি বিপ্লবীর জন্ম দিয়েছে। আমার জীবন অথবা অনুপস্থিতি এই জাতির স্বপ্ন পূরণে কোনো বাধা হবে না।”
আসিফ মাহমুদের এই বক্তব্য ঘিরে তরুণ সমাজ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকে একে একটি প্রতীকী ঘোষণা হিসেবে দেখছেন, যেখানে তিনি ‘৩৬ জুলাই’ বলে একটি কাল্পনিক তারিখ ব্যবহার করে বোঝাতে চেয়েছেন, নির্দিষ্ট কোনো দিনের চাইতেও বড় একটি সময় বা অভিজ্ঞতা ছিল সেটি। শহীদ হওয়ার “কাছাকাছি” ছিলেন — এই কথাটি দিয়ে হয়তো তিনি কোনো বিশেষ হামলা, হুমকি বা দমনমূলক ঘটনার ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা ওই সময় তার জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছিল।
তিনি স্ট্যাটাসে আত্মত্যাগের প্রস্তুতির কথাও বলেন। লিখেছেন, “এদেশের মানুষ আমার জীবনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রয়োজন হলে নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত।” তার এই বক্তব্য বিএনপি ও তার নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে ব্যক্তিগত আত্মত্যাগের বিষয়টিকে সামনে আনা হচ্ছে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক সংকল্পের অংশ হিসেবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের বক্তব্য দলের ভেতরে আত্মবিশ্বাস জাগাতে পারে, আবার একে একধরনের ‘আত্মোৎসর্গের রাজনৈতিক কৌশল’ বলেও বিবেচনা করা যেতে পারে। সামাজিক মাধ্যমে তার এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যে হাজার হাজার লাইক ও শেয়ার পেয়েছে, অনেকেই তাকে “আদর্শের সৈনিক” বলেও অভিহিত করছেন।
আসিফ মাহমুদের এই আবেগঘন ভাষ্য বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে এক অনন্য বার্তা বহন করে, যেখানে ব্যক্তি জীবনের চেয়ে আন্দোলনের মূল্য বড় করে দেখানো হচ্ছে — এবং একইসাথে ভবিষ্যতের লড়াইয়ের ইঙ্গিতও দেওয়া হচ্ছে।