ইরানে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। তবে পশ্চিমা ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরব গোপনে ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে পরোক্ষ সহায়তা দিয়েছে—যা দেশটির দ্বৈত কূটনৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সল বিন ফারহান সম্প্রতি এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে এবং মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা আরও বাড়াবে।” তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম Financial Times ও Time Magazine-এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা অভিযানের সময় সৌদি আরব ও জর্ডান তাদের আকাশপথে ইসরায়েলি বা মিত্র যুদ্ধবিমানকে পরোক্ষভাবে চলাচলের সুযোগ দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদি আরব পশ্চিমা মিত্রদের সন্তুষ্ট রাখতে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে এক ধরনের ‘স্ট্র্যাটেজিক নিরপেক্ষতা’ বজায় রাখছে। এর ফলে, একদিকে তারা মুসলিম বিশ্বের কাছে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে পশ্চিমা প্রতিরক্ষা জোটের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখছে।
তবে এই দ্বৈত কৌশল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিতর্ক তৈরি করেছে। অনেকেই বলছেন, সৌদি আরব প্রকাশ্যে মুসলিম সংহতির বার্তা দিলেও, বাস্তবে তাদের কূটনীতি এখন অনেক বেশি স্বার্থনির্ভর ও সামরিক জোটনির্ভর হয়ে উঠেছে।