ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যে বহু দশক ধরে চলমান বৈরিতা অবসানের সম্ভাবনা নিয়ে সম্প্রতি নতুন আলোচনার সূচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সূত্র ও মিডিয়া প্রতিবেদনে প্রকাশ, দুই দেশের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অঘোষিত বৈঠক ও মধ্যস্থতা শুরু হয়েছে, যা দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তির পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশ্বের অন্যতম কৌশলগত ও সংবেদনশীল অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য, যেখানে ইসরায়েল ও সিরিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই বিচ্ছিন্ন। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ মধ্যস্থতায় এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের ভূমিকা বৃদ্ধির ফলে এই সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে বলে কূটনৈতিক মহলে গুঞ্জন।
আমেরিকান সংবাদমাধ্যম The Wall Street Journal এবং কাতারভিত্তিক আল জাজিরা উভয়ই জানিয়েছে যে, ইসরায়েল ও সিরিয়া পরস্পরের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করেছে, যার প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে নিরাপত্তা সহযোগিতা, অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং গোলান মালভূমি সংক্রান্ত ঐতিহাসিক বিরোধে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খোঁজা।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা অঞ্চলটিতে একটি স্থিতিশীল ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যদি সিরিয়া সন্ত্রাসবাদ পরিহার করে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় সহযোগিতা করে।” অপরদিকে সিরিয়ার সরকার জানিয়েছে, “আমরা আলোচনায় আগ্রহী, তবে সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় মর্যাদার প্রশ্নে কোনো আপস হবে না।”
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য নতুন ‘অ্যাব্রাহাম অ্যাকর্ড’ ধাঁচের কূটনৈতিক চুক্তির আভাস দিয়েছেন, যদিও বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি এ আলোচনা সফল হয়, তবে এটি শুধু সিরিয়া-ইসরায়েল সম্পর্ক নয়, বরং সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে স্থিতিশীলতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।