গাজায় চলমান রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মাঝে শান্তির সম্ভাবনায় বড় অগ্রগতি এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (১ জুলাই) ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরায়েল একটি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের সব প্রয়োজনীয় শর্ত মেনে নিয়েছে। এখন এই প্রস্তাব কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাসের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
ট্রাম্প বলেন,
“ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করতে প্রয়োজনীয় সব শর্ত মেনে নিয়েছে। আমি আশা করি, মধ্যপ্রাচ্যের মঙ্গলার্থে হামাস এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে। কারণ এটি এর থেকে ভালো আর কিছু পাবে না—বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”
কী রয়েছে এই প্রস্তাবে:
- ৬০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি
- গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সবুজ সংকেত
- বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়া চালু
- ইসরায়েলি বাহিনীর কিছু অংশ প্রত্যাহারের সম্ভাবনা
হামাসের প্রতিক্রিয়া:
হামাসের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, তারা প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করছে এবং আংশিকভাবে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত মুহূর্ত, যেখানে যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয়ের মাঝেও শান্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
গাজায় পরিস্থিতি:
বর্তমানে গাজায় পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটময়। খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সংকটে ভুগছেন সাধারণ মানুষ। হাসপাতালগুলোর অবস্থা ভয়াবহ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির তীব্র ঘাটতি বিদ্যমান। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে এই মানবিক দুর্দশা অনেকাংশে লাঘব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ:
আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই বৈঠকে যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন ও ভবিষ্যত শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
বিশ্লেষণ:
এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব কেবল অস্থায়ী স্বস্তি নয়—বরং দীর্ঘমেয়াদে গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে এটি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। তবে সবকিছু নির্ভর করছে হামাসের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর।