ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, দেশের আপামর জনসাধারণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নৈতিক ও আদর্শিক পরিবর্তন অপরিহার্য। তাঁর মতে, ১৯৪৭ সাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হলেও, কোনো পক্ষই জনগণের প্রকৃত কল্যাণ সাধনে সফলকাম হতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের পরেও ক্ষমতাসীনরা সমাজ থেকে বৈষম্য দূরীভূত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, কেবল দল বা নেতৃত্বের পরিবর্তনে নয়, আদর্শিক রূপান্তরের মাধ্যমেই দেশে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
সোমবার বিকেলে বরগুনার বামনা উপজেলার হলতা ডৌয়াতলা সমবায় বহুমুখী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
মুফতি ফয়জুল করীম প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, “অসৎ চরিত্রের কোনো ব্যক্তি যদি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন, তবে তাঁর কাছ থেকে জনকল্যাণমূলক কাজ আশা করা যায় কি?” তিনি আরও বলেন, “যেসব সামাজিক ব্যাধি, যেমন—বলপূর্বক অর্থ আদায়, নিপীড়ন, ধর্ষণ এবং জবরদখলের কারণে পূর্ববর্তী সরকারকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছিল, সেই অপরাধগুলো কি বর্তমানে নির্মূল হয়েছে?”
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বামনা উপজেলা শাখার সভাপতি আব্দুস সোবহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় সঞ্চালকের দায়িত্বে ছিলেন উপজেলা সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন জিহাদী।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-২ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও জেলা সভাপতি মুফতি মিজানুর রহমান কাসেমী, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস শাকুর, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আলম, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রেজাউল করিম আকন এবং সহপ্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক এইচ. এম. আহমাদুল্লাহসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

