মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় দফার ক্ষমতার সবচেয়ে বড় সফরে বের হয়েছেন। শুক্রবার রাতে ওয়াশিংটন থেকে মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া অভিমুখে যাত্রা করেন তিনি। পাঁচ দিনের এই সফরের অন্যতম আকর্ষণ হলো কুয়ালালামপুরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) সম্মেলনে তাঁর অংশগ্রহণ। হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন যে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাঁর অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে।
এর আগে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন, যার পাল্টা জবাবে বেইজিং বিরল পৃথিবী চুম্বক ও খনিজ পদার্থের রপ্তানিতে নতুন নীতি জারি করে। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে এরই মধ্যে শনিবার কুয়ালালামপুরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা আলোচনা শুরু করেছেন। এই বৈঠকের মূল লক্ষ্য হলো আসন্ন এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) সম্মেলনের জন্য একটি ভিত্তি তৈরি করা।
আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে বাণিজ্য শুল্ক, প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ এবং যুক্তরাষ্ট্রে চীনের কৃষিপণ্য সরবরাহ, বিশেষত সয়াবিন কেনার বিষয়ে একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই দিনে কোরিয়ার বুসানে ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা আছে। তবে, এই আলোচনায় যদি কোনো সমঝোতা না হয়, তাহলে ১ নভেম্বর থেকে চীনা পণ্যের ওপর মোট ১৫৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ কার্যকর হবে। আল-জাজিরা ও রয়টার্স সূত্রে এই খবর জানা গেছে।

