সব গণহত্যার বিচার, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ সাত দফা দাবিতে ‘জাতীয় সমাবেশ’ করে জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস, পিকআপ, ট্রেন, লঞ্চে আসতে শুরু করেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশস্থল ও আশপাশ এলাকা রূপ নেয় জনসমুদ্রে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়িয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, প্রেস ক্লাব, পল্টন, কার্জন হল, চানখাঁরপুল, পলাশীসহ সব এলাকায় ছিল সমাবেশে আগত কর্মীর ভিড়। দলীয় পতাকা হাতে মাথায় বেঁধে, দলের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে তাঁরা যোগ দেন সমাবেশে।
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে সাত দফা দাবিতে এ সমাবেশ করে জামায়াত। দাবিগুলো হলো সব গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে সমতাভিত্তিক রাজনৈতিক পরিবেশ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) নিশ্চিত করা।
জামায়াতের এসব দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, হেফাজত ইসলামের নায়েবে আমির মহিউদ্দিন রাব্বানী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির আবু জাফর কাসেমী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার ও জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ড. গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক।

