‘ক্যামেরার পেছনে এলাকার মানুষের মন্তব্য’
** শিশু ময়নাকে হত্যা করে লাশ গোপনে মসজিদের দোতলায় রেখে আসে হত্যাকারীরা। আর এসময়টা হতে পারে ফজরের নামাজ চলাকালে, কারণ এসময় মসজিদের সকল গেইট খোলা থাকে এবং মসজিদের চারপাশ থাকে সুনসান নীরবতা।
** মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে ফাঁসাতেই ময়নার লাশ ফজর নামাজ চলাকালে হত্যাকারীরা মসজিদের দোতলায় রেখে আসে কৌশলে। এই মসজিদে ফজর নামাজের সময় তেমন বেশি মুসল্লী হয় না, যা অন্যান্য ওয়াক্তে হয়।
** ময়না হত্যাকারীরা নিজেদের দায় এড়াতে নাটক সাজানোর অপচেষ্টা করেছিল, যা তারা ব্যর্থ হয়েছে! যেমন- ময়নার লাশ মসজিদের দোতলায় রেখে তারা এটা বুঝাতে চেয়েছিল জ্বিনে মেরে ফেলেছে!
** ময়নাকে মসজিদের বাহিরে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ মসজিদের দোতলায় রেখে আসে এবং আল্লাহর ঘর মসজিদকে ‘কলঙ্ক’ করে হত্যাকারীরা। কারণ, মসজিদের দোতলায় যদি ময়না হত্যার শিকার হতো তাহলে পুরো ফ্লোর রক্তে ভেসে যেতো। অল্প সময়ের ব্যবধানে লাশ উ’দ্ধার হওয়ায় ফ্লোরে সামান্য র’ক্ত পড়ে ছিল।
উপরোক্ত কথাগুলো শাহবাজপুর হাবলীপাড়া এলাকার বাসিন্দা কয়েকজনের। তবে তারা ক্যামেরার সামনে একথা গুলো বলতে রাজি হননি, কারণ বাড়তি ঝামেলা এড়াতে।
পুবের আলো’র টিম ময়না হত্যা’কাণ্ডের ব্যাপারে আশপাশের সাধারণ মানুষের সাক্ষাৎকার নিতে গেলে কয়েকজন ক্যামেরার পেছনে কথা বলেন এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দেন। তবে এলাকার মানুষ সকলে শিশু ময়নার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত বিচারের আওতায় আনার জন্য পুলিশের প্রতি আহবান জানান।
উল্লেখ্য, পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী মাইমুনা আক্তার ময়না (৯) গত শনিবার (৫জুলাই) বিকেলে নি’খোঁজ হয়। পরদিন রবিবার (৬জুলাই) ভোরে বাড়ির পাশে মসজিদের দোতলা থেকে ময়নার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার হয়। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের হাবলীপাড়া গ্রামের চন্দু মিয়া পাড়ার প্রবাসী আবদুর রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় নিহত ময়নার মা নীপা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে সরাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন সহ কয়েকজনকে জি’জ্ঞাসা’বাদের জন্য হেফাজতে নেয়।
সূত্র : পুবের আলো

