ভারতের ওপর শুধু বাংলাদেশই নির্ভরশীল নয়, বরং ভারতও বাংলাদেশের ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল—এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ভারতের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশকে ঘিরেই গঠিত এবং এই বাস্তবতা যেন ভারত কোনোদিন ভুলে না যায়। দুই দেশের মধ্যে যদি কোনো সম্পর্ক থাকে, তবে তা হতে হবে ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।
বুধবার (৯ জুলাই) চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় দিনভর গণসংযোগ করেন এনসিপি নেতাকর্মীরা। সকালেই মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয় দলটি। হাটবোয়ালিয়া বাজার, আলমডাঙ্গা উপজেলা এবং বড় বাজারে পথসভা করে তারা। বড় বাজারের পথসভায় নাহিদ ইসলাম এই মন্তব্য করেন।
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “গত ৫৪ বছর ধরে সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করা হচ্ছে। নিরপরাধ মানুষকে গুলি করে মারা হচ্ছে। বিএসএফ আর কোনো সীমান্তরক্ষী বাহিনী নয়, তারা যেন খুনি বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশিদের খুন করাই যেন তাদের নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিগত ৫৪ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ গোলামির জীবনযাপন করছে। আমাদের মানবিক মর্যাদা, স্বাধীনতা বারবার অপমানিত হয়েছে ভারতের আধিপত্যবাদী আচরণের কাছে। আজও আমরা পানির ন্যায্য হিস্যা পাইনি। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে আমাদের দমন করা হয়েছে বারবার। ভারতের প্রত্যক্ষ সমর্থনেই আওয়ামী লীগ সরকার গুম-খুন চালিয়েছে।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলে নাহিদ ইসলাম বলেন, “সকল হত্যাকাণ্ডের দায় শেখ হাসিনা ও তার দলের। গুলি চালানোর নির্দেশ তিনিই দিয়েছেন—বিবিসির প্রতিবেদনে তা প্রমাণিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী এখন ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। তারা আর দেশে ফিরে আসতে পারবে না। যদি ফিরেও আসে, তবে আমাদের জীবন পেরিয়ে আসতে হবে।”
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও বক্তব্য দেন তিনি। বলেন, “রাজনৈতিক কোন্দলের জেরে প্রতিনিয়ত মানুষ মারা যাচ্ছে। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি আর দখলদারিত্ব। এসব চাঁদাবাজদের সমাজ থেকে বয়কট করতে হবে। আমরা চাই বিচার, সংস্কার, নতুন সংবিধান এবং জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন।”

