সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানান যে তিনি তাকে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করছেন, এবং ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে তার সাম্প্রতিক হামলার প্রশংসাও করেছেন।
নেতানিয়াহু এবং ট্রাম্প তাদের শীর্ষ সহযোগীদের সাথে ওয়াশিংটনে নৈশভোজে বসে ইরানের বিরুদ্ধে তাদের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন এবং গাজায় ২১ মাস ধরে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন।
নেতানিয়াহু এই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে একটি চিঠি উপহার দিয়ে বলেন যে তিনি এটি নোবেল শান্তি পুরষ্কার কমিটিকে পাঠাচ্ছেন। তিনি বলেন “আমরা যখন কথা বলছি, তখন মিস্টার ট্রাম্প একের পর এক দেশ এবং বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন”।
সম্প্রতি ট্রাম্প ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় “বাঙ্কার বাস্টার” বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য মার্কিন বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ার পর নোবেল পুরষ্কারের বিষয়ে তাকে মনোনীত করার সিদ্ধান্তে আসলো ইসরাইল।
অপরদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন যে পাকিস্তান নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে মনোনীত করেছে।
হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যারোলিন লেভিট বলেন, পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ রোধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তমূলক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার স্বীকৃতি।
উল্লেখ্য, গত মাসে পাকিস্তান ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মনোনীত করেছিল।
পাকিস্তান সরকার বলেছিল যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস করেছে এবং ট্রাম্পের কূটনৈতিক যোগাযোগে একটি ভয়াবহ যুদ্ধের হুমকি এড়িয়ে গেছে।

