জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক আফসোস করে বলেছেন, মানুষ এখন আর জাতীয় ইস্যু নিয়ে মসজিদে আসে না, আসে শুধু পানি পড়া নেওয়ার জন্য। ৪ জুলাই (২০২৫) জাতীয় মসজিদে জুম্মার বয়ানের এক সময় তিনি এ কথা বলেন, যা পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, “জাতীয় কোনো সমস্যা বা সংকট থাকলে মানুষ মসজিদে আসে না, আল্লাহর কাছে সাহায্য চায় না। কিন্তু ছোটখাটো সমস্যায় এসে পানি পড়া নেয়, তাবিজ নেয়, ঝাড়ফুঁক চায়।”
মুফতি মালেক আরও বলেন, জাতীয় মসজিদ শুধু নামেই ‘জাতীয়’ হয়ে থাকলে চলবে না। দেশের মানুষ, বিশেষ করে তরুণ সমাজ, জাতীয় ইস্যু নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করবে, দ্বীনের আলোকে সমাধান খুঁজবে—এমন চেতনা গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “আমাদের সমাজে আজ দীনকে শুধু ব্যক্তিগত চাহিদার জায়গায় নামিয়ে আনা হয়েছে। অথচ ইসলাম শুধু ব্যক্তিগত ইবাদত নয়, বরং সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের পথনির্দেশও দেয়।”
তিনি সবাইকে আহ্বান জানান—মসজিদকে যেন কেবল দোয়া-ফুঁকের জায়গা না বানিয়ে তাওহিদ, ন্যায়বিচার ও কল্যাণমুখী চিন্তার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়। তিনি বলেন, “যদি সত্যিই আমরা ইসলাম মানি, তাহলে দেশের সমস্যাগুলো নিয়েও মসজিদে আলাপ হবে, আলোচনা হবে, আল্লাহর সাহায্য চাওয়া হবে।”
মুফতির এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই সমর্থন করছেন। অনেকেই বলছেন, সত্যিই এখন ধর্মকে আমরা কেবল ‘ব্যক্তিগত’ করে ফেলেছি, আর জাতীয় ইস্যু নিয়ে একত্র হওয়ার জায়গা হয়ে উঠতে পারেনি মসজিদ।
মুফতি আবদুল মালেকের বক্তব্য শুধু একটি বয়ান নয়—এটি দেশের মানুষকে নতুনভাবে ভাবতে শেখায়, মসজিদকে শুধু নামাজের স্থান নয়, বরং জাতির দিকনির্দেশনার কেন্দ্র হিসেবে দেখার আহ্বান।