ইসরাইল যদি কোনও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়, তবে দেশটির সমস্ত অবকাঠামোকে টার্গেট করে হামলা চালাবে ইরান। ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর যুগ্ম প্রধান মেজর জেনারেল মুহাম্মদ বাঘেরি বলেন,
‘যদি ইসরাইল এই ধরনের অপরাধ অব্যাহত রাখে বা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কিছু করতে চায়, তাহলে আজকের রাতের অভিযান আরও কয়েকগুণ শক্তিশালী হবে এবং তাদের সমস্ত অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর নিরাপত্তা ইরানের নিজের এক্স হ্যান্ডেল থেকে করা এক পোস্টে ইরানি মেজর জেনারেল মুহাম্মদ বাঘেরি ইসরাইলকে হুমকি দিয়েছেন।
এ দিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীনেতানিয়াহুর হুঁশিয়ারি, ইরানকে গুরুতর ফল ভোগ করতে হবে। মঙ্গলবার ইসরাইলের স্থাপনা লক্ষ্য ২০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ বিভিন্ন করে ইরান ব্যালিস্টিক করে। এর মধ্যে কিছু হাইপারসনিক ‘ফাত্তাহ’ ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল, যেগুলোর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় মাইল বলে ধারণা ১০ হাজার করা হচ্ছে। এ হামলার লক্ষ্যবস্তু ইসরাইলের রাজধানী তেল সামরিক ঘাঁটি জানিয়েছে ইরানি আবিবের ৩টি ছিল বলে সেনা। ইরানের হামলার পর নিজস্ব পরিষদের সঙ্গে নেতানিয়াহু। বৈঠক ইরানকে হুঁশিয়ারি বৈঠক করেন শুরুর আগে দেন তিনি। নেতানিয়াহু দাবি করেন, হামলা ব্যর্থ হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, ৯০ বেশি ক্ষেপণাস্ত্র শতাংশেরও টার্গেটে আঘাত হেনেছে।
রাষ্ট্রসংঘে নিয়োজিত ইরানি মিশন এক্স পোস্টে লিখেছে, ‘যায়নবাদী জান্তা যদি প্রতিক্রিয়া দেখায় বা আরও কিছু করে, তবে ভয়াবহ পরিণতি হবে।’ বেশকিছু মিডিয়ায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্রের কথা বললেও ইসরাইলের কিছু সংবাদসংস্থা জানাচ্ছে, ইরান থেকে ৪০০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র মারা হয়েছে। সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় দেখা গেছে, বৃষ্টির মতো ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হানছে ক্ষেপণাস্ত্র। রাজধানী তেল আবিব-সহ বিভিন্ন শহরে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইরানের সেনা আইআরজিসি স্পষ্ট করে বলেছে,
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহ নেতা নাসরুল্লাহ এবং আইআরজিসি-র ডেপুটি কমান্ডার আব্বাস নীলফোরুশানের শাহাদাতের বদলা নিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।