সম্প্রতি ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি প্রকাশ পেয়েছে, যার মধ্যে আলে সউদ ও ব্রিটিশ সরকারের মধ্যকার বেশ কিছু গোপন বিষয় উঠে এসেছে।
নথির তথ্য অনুযায়ী ১৯৭৯ তে যখন আয়াতুল্লাহ খোমেনির নেতৃত্বে ইরানি বিপ্লবের সফলতায় রাজা পাহলভীর একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটে এতে সৌদি আরবে ইসলামি জাগরণ ব্যাপকতা লাভ করে। সৌদির উলামায়ে কেরামও বিপ্লবিক চেতনা লালন করায় এই জাগরণ দ্রুত প্রসারিত হয়। ইরাকের দখল থেকে কুয়েতকে মুক্ত করতে সৌদির নেতৃত্বে বিদেশি শক্তি জাযিরাতুল আরবে অনুপ্রবেশ করলে এই জাগরণ তীব্র গতি লাভ করে। ফলশ্রুতিতে সালমান আওদা, আয়েয করনী, সফর হাওয়ালীর মতো বরেণ্য ব্যক্তিত্ব জাগরণের নেতৃত্ব দেওয়ায় সৌদী রাজপরিবারের বিরাগভাজন হয়ে কারাবরণ করেন।
এই প্রেক্ষাপটে আরবের ইসলামি জাগরণে ব্রিটেন উদ্বিগ্ন হয়, এবং আরবের অন্তত চৌদ্দটি দেশের ব্রিটিশ কনসুলেটদের কাছে সেখানকার ইসলামের অবস্থা জানতে চায়। এরই ধারাবাহিকতায় জেদ্দায় ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার জেমস ক্রেগকেও দেশটির চলমান ধর্মীয় অবস্থা সম্পর্কে রিপোর্ট করতে বলা হয়। সেই রিপোর্টে স্যার ক্রেগ মনে করেন, আরব শাসকরা সাংবিধানিক ভিত্তি হিসেবে নিজেদের সাম্রাজ্য টিকিয়ে রাখার জন্য ইসলামকে ব্যবহার করে । তিনি রিপোর্টে লেখেন, সৌদী রাজপরিবার ইসলামি মূল্যবোধকে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ব্যবহার করতে অসীম পারদর্শী। তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখাই তাদের সবকিছুর মৌলিক উদ্দেশ্য। অপর আরেকটি রিপোর্টে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, রাজপরিবার তাদের স্বার্থেই ইসলামি মূল্যবোধকে চর্চিত হতে উৎসাহিত করে। যখন তা পর্যায়ক্রমে চরমপন্থায় রূপান্তরিত হয় তখন কঠোরতা আরোপ করে। এভাবে তারা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সর্বত সফল হচ্ছে। নথিতে ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত সৌদিতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার অ্যালান গর্ডন মুনরোর একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে তিনি রিপোর্ট করেছিলেন যে, সৌদি রাজপরিবারের মধ্যপ্রাচ্যে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব বজায় থাকলে ব্রিটিশদের স্বার্থ ব্যাপকভাবে সুরক্ষিত হবে। তিনি এও যোগ করেন যে, সউদ পরিবার ব্রিটিশদের কথা শুনতে সদা প্রস্তুত।
Latest:
- ইমাম-মুয়াজ্জিনদের কুরবানীর ঈদ যেমন হয়!
- কুরবানির ঈদে যেন গরীবদের ভুলে না যাই।
- ভারত যেন পাকিস্তানকে দূর্বল মনে না করে – পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে নিজাম ইসলাম পার্টি ।
- আ. লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন
- আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা!
- ভারতীয় গোয়েন্দারা মোট ২৩টি মিটিং করেছে বাংলাদেশের সাথে! – হাসনাত
- শুক্রবার ভাগনা বড় মসজিদে আসছেন আজিজুল হক ইসলামাবাদী