আজ বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো জুমা পড়িয়েছেন বরেণ্য আলেমে দ্বীন খতীব মুফতি আবদুল মালেক।
আজ তিনি তাকওয়ার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। এসময় তিনি তাকওয়ার বিশেষ কিছু ক্ষেত্র উল্লেখ করতে গিয়ে যুলুম থেকে বেঁচে থাকার কথা বলেন।
যুলুমের প্রধান দুটি উদাহরণ হিসেবে এসময় সিন্ডিকেটের প্রসঙ্গ আসে। এসময় তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের বাজার সিন্ডিকেট একটি ভয়াবহ রকমের অন্যায়। অতীতে যখন জাতীয় পর্যায়ে বাজার সিন্ডিকেটের কোন ধারণা ছিলো না, তখনো স্থানীয়ভাবে স্বল্প পরিসরে যে বাজার সিন্ডিকেট বা অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে কারসাজি হতো সেটার উপরও হাদীসে অত্যন্ত কঠিন হুমকি এসেছে।
মুসনাদে আহামাদে সহীহ সনদে এসেছে, বাজারের অস্বাভাবিক মূল্য কারসাজিতে কেউ সামান্য ভূমিকা রাখলে তাকে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের বড় একটি অংশে রাখা হবে।
খতীব সাহেব এ সময় প্রশ্ন করেন, সামান্য সিন্ডিকেটের যদি এতো ভয়াবহ পরিণতি হয় তাহলে জাতীয় পর্যায়ে যারা সিন্ডিকেট করে তাদের কী দশা হতে পারে?!
এ ছাড়াও যুলুমের আরেকটি উদাহরণ হিসেবে তিনি এলজিবিটির কথাও বলেন।
আল্লাহ তাআলা সূরা নিসার প্রথম আয়াতে বলেন যে, তিনি আদম ও হাওয়ার মাধ্যমে গোটা পৃথিবীতে অসংখ্য নারী ও পুরুষ ছড়িয়ে দিয়েছেন। সুতরাং এখন কোন পুরুষ বা নারী যদি নিজেকে শারীরিক পরিবর্তন করে হোক বা না করে হোক ভিন্ন কিছু ভাবে তাহলে তা হবে আল্লাহর সৃষ্টির বিরুদ্ধে, কুরআনের শতশত আয়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা।
এ সময় বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েও তিনি কঠোর মন্তব্য করেন। যে জাতিসংঘ ফিলিস্তিনে সামান্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে ইসরায়েলের হাতজোড় করেও রাজি করতে পারে না সেই জাতিসংঘের কতটুকু মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষমতা আছে তা সহজেই অনুমেয় বলে তিনি ব্যক্ত করেন।
তিনি আরো বলেন, কোনটা অধিকার আর কোনটা অধিকার নয় তা কুরআনই নিখুঁত নির্দেশনা দেবে। সুতরাং যাদের কাছে কুরআন নেই তারা তা কীভাবে বলবে? আর এসব মানবাধিকার সংস্থার প্রধান প্রধান অধিকার এসব অশ্লীলতা, এলজিবিটি ইত্যাদি বলে তিনি সবাইকে সতর্ক করেন।
বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘকে তার সংস্থা এই মুসলিম দেশে খোলার অনুমতি কোনক্রমেই প্রদান করবেনা বলে তিনি একাধিকবার দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।
অনুলিখন- হাসিবুল ইসলাম
( বায়তুল মুকাররাম থেকে )