মুসলিম উম্মাহকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খামেনাই বলেন,
আফগানিস্তানের দুশমন, ইয়েমেনের দুশমন, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, লেবানন ও ফিলিস্তিনের দুশমন একই। এই চিহ্নিত কমন দুশমনের বিরুদ্ধে একজোট হতে না পারলে এদের দুঃসাহস আরও বেড়ে যাবে। এরা একটি দেশের উপর আক্রমণ করে তারপর অন্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাই তাদের বিরুদ্ধে একজোট হতে হবে মুসলিম শাসকদের।
তিনি আরও বলেন, আমরা অতি দ্রুত কিংবা, অতি বিলম্বে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছি না। সেনা ও প্রশাসনের এক্সপার্টরা সিদ্ধান্ত নেবে দুশমনদের শাস্তি কীভাবে দেওয়া হবে।
আমেরিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন,
মধ্যপ্রাচ্য ও আরবদের তেল ও জ্বালানি নেওয়ার লক্ষ্যেই আমেরিকার ও ইউরোপের কয়েকটি দেশ ইসরাইলকে শিখণ্ডি খাড়া করে রেখেছে। ওরা আমাদের তেল নিয়ে যাবে আর ওদের পণ্য আমাদের দেশে ঠেলে পাঠাবে। সেজন্য ইসরাইল হচ্ছে ওদের প্রবেশদ্বার।
ইসরাইলের উপর ইরানের হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,
আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অসাধারণ এই পদক্ষেপ ছিল সম্পূর্ণ বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত। আমেরিকার ‘পাগলা কুকুর’ ও নেকড়ের মতো হিংস্র ইহুদিবাদী এই শাসকগোষ্ঠীর ভয়াবহ সব অপরাধের জন্য আমাদের সেনারা তাদের সামান্য শাস্তিই দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ইমাম খামেনাই যখন তেহরানে মসজিদে ভাষণ দিচ্ছেন, সে-সময় ইসরাইলের যুদ্ধ বিমান লেবাননে হিজবুল্লাহর খাঁটি লক্ষ্য করে বম্বিং করেছে। ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেইরুটে। ইসরাইল হুমকি দিয়েছিল ইরানে তারা যেকোনও সময় যুদ্ধ বিমান পাঠাতে পারে। কিন্তু ইমাম খামেনাই নিজে প্রকাশ্যে এসে নামায পড়াবার ঘোষণা দিতেই লক্ষ লক্ষ মানুষ জমায়েত হয়েছেন তেহরানে ইসরাইলের যুদ্ধ বিমানের হুমকি উপেক্ষা করেই।
এ দিকে কাতারের রাজধানী দোহায় সউদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সউদের সঙ্গে বৈঠককালে ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমরা সউদি আরবসহ ইসলামিক দেশগুলোকে আমাদের ভাই বলে মনে করি। সব মতপার্থক্য একপাশে রেখে আমাদের একে অপরের সঙ্গে একতা ও সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি যে, বিশ্বজুড়ে ইসলাম প্রচারের কারণ ছিল মুসলিমদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্ব।’ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘যদি আজ যায়নবাদীরা গাজায় অপরাধ ও গণহত্যা করার সাহস করে থাকে, তবে তা করতে পারছে ইসলামি দেশগুলোর বিভেদ ও উদাসীনতার কারণে।’ পেজেশকিয়ানের কথায়, ‘আমরা যদি আগ্রাসন মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ না হই, তবে আজ তা শুধু গাজা ও লেবাননের বিরুদ্ধে হলেও, আগামীতে হবে অন্যান্য মুসলিম শহর ও দেশের বিরুদ্ধে।