গত ৩১ মে ছিল প্রথম দফায় মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর শেষ দিন। তবে টিকিট জটিলতায় সে দিন প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক দেশটিতে যেতে পারেননি। সে প্রসঙ্গে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে প্রথম পর্যায়ে ১৮ হাজার বাংলাদেশি নেওয়া হবে।
মালয়েশিয়াগামী বাংলাদেশি শ্রমিকদেরি এই বড় সুসংবাদটি দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। জানিয়েছেন, টিকিট জটিলতার কারণে প্রথম পর্যায়ে যে ১৮ হাজার শ্রমিক যেতে পারেননি তাদের ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে দুই সরকারপ্রধান যৌথ সংবাদ সংবাদ সম্মেলন করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে জানিয়ে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এবং সর্বাত্মক সহযোগী থাকবে।
ড. ইউনূস বলেন, আমরা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছি। যেখানে তারুণ্যের শক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি। সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শিক্ষা, প্রযুক্তিসংক্রান্ত বিষয় এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনশক্তি রফতানি, যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কথা বলেছি। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি এবং ভিসা সহজীকরণের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী প্রথম শীর্ষ নেতা হিসেবে ঢাকা সফরে এসেছেন। জানা যায়, আনোয়ার ইব্রাহিমের পুরোনো বন্ধু ড. ইউনূস। বন্ধুর আমন্ত্রণে ঢাকায় এসেছেন তিনি।
সবশেষ ২০১৩ সালের নভেম্বরে সরকারি সফরে ঢাকায় এসেছিলেন মালয়েশিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।