কিছুটা থিতিয়ে গিয়ে ফের ভেসে উঠল সিমলার জুমা মসজিদ বিতর্ক। শনিবার সিমলা মিউনিসিপ্যাল কমিশনার কোর্ট রায় দিল ভেঙে নিতে হবে সানজাউলি মসজিদের তিনটি তলা। এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হিমাচল প্রদেশ ওয়াকফ বোর্ড এবং মসজিদ কমিটিকে। দুই মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যেই ভেঙে দিতে হবে তিনটি ফ্লোর।
ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষ থেকে দাঁড়ানো আইনজীবী এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের বলেন,
পুরকমিশনের এই আদালত রায় দিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড এবং মসজিদ কমিটি নিজেদের খরচে মসজিদের উপরের তিনটি তলা ভেঙে নেবে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ২১ ডিসেম্বর। তবে মসজিদ কমিটি আগে জানিয়েছিল কোর্ট রায় দিলে তারা অতিরিক্ত ফ্লোর ভেঙে নিতে পারে। বিষয়টি কোর্টের উপর ছেড়ে দেওয়ার পর অনেকেই ভেবে ছিল মসজিদ নিয়ে বিতর্ক আপাতত থেমে গেল। কিন্তু পুরসভার কোর্ট এই মামলায় অযথা বিলম্ব করা পছন্দ করেনি। তাই শনিবারই সেই মামলার রায় দিয়ে দিল।
উল্লেখ্য, সানজাউলি মসজিদ সিমলা শহরের প্রসিদ্ধ জুমা মসজিদ। এই মসজিদের অতিরিক্ত ফ্লোর নাকি সরকারি অনুমোদন নিয়ে বানানো হয়নি। এই অভিযোগ নিয়ে জমায়েত হয় কট্টরবাদী হিন্দুত্ব গোষ্ঠী। বিশাল উত্তেজনা সৃষ্টি হয় কয়েক সপ্তাহ আগে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। সেই সময় মসজিদ কমিটি বাধ্য হয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল অনুমোদন না নেওয়া অংশ ভেঙে নেওয়া হবে, যদি কোর্ট রায় দেয়। মসজিদে নামাজিদের সংখ্যা বেশি দেখে এই অতিরিক্ত ফ্লোর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে হায়দরাবাদের মিম পার্টির এক নেতা এই মসজিদে এসে অভিযোগ করে যে, প্রশাসন মুসলিমদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। পরে সেটা নিয়ে পুনরায় উত্তেজনা তৈরি হতে থাকে। ফলে মসজিদ কমিটি মিম পার্টির মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রাখে।
কমিটির বক্তব্য এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে তারা কোর্টের রায় মেনেই চলেছে। সেই মোতাবেক আজ রায় ঘোষণা হওয়ার পরই এখন সকলের নজর মসজিদ কমিটির দিকে। তারা কোর্টের রায় মেনে দু’মাসের মধ্যে ভাঙা শুরু করবে? নাকি উচ্চ আদালতে আপিল করে আরও কিছুদিন সময় নিতে চাইবে।