রাশিয়ার কাজানে সাম্প্রতিক ব্রিকস সম্মেলনে একটি প্রতীকী ব্যাংকনোট উন্মোচন করা হয়, যা ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কাঠামোর পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি মার্কিন ডলারের উপর নির্ভরতা কমানোর সম্মিলিত উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রমাণ করে। যদিও ব্যাংকনোটটি এখনও কার্যকরী মুদ্রা নয়, তবুও শীর্ষ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ইমারাতের প্রতিনিধিত্বের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও তা আফগানিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিকতাকে তুলে ধরেছে।
ব্রিকস সম্মেলনে সদস্যদের যৌথ বিবৃতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আঞ্চলিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করা হয়েছে। আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোকে জড়িত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শীর্ষ সম্মেলনে ভাষণ দিয়ে পুনর্ব্যক্ত করেছেন, ব্রিকস দেশগুলো মার্কিন ডলারকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান না করলেও তারা এমন ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে যেখানে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারের ব্যবহার সীমিত হতে পারে। তিনি জোর দিয়ে জানান, ডলার বৈশ্বিক অর্থায়নে একটি অপরিহার্য হাতিয়ার হিসাবে রয়ে গেছে, একটি রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে এর ব্যবহার মুদ্রার উপর আস্থা নষ্ট করে। পুতিনের বক্তব্যে বিকল্প মুদ্রা তৈরি এবং একটি “ন্যায্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা” প্রতিষ্ঠার জন্য BRICS এর উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতিফলিত হয়।
BRICS-এর জোরালো যৌথ বিবৃতি সহ প্রতীকী ব্যাংকনোটে আফগানিস্তানের অন্তর্ভুক্তি, অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও বিশ্ব মঞ্চে দেশটির গুরুত্বকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে। যেহেতু BRICS আর্থিক স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতার উপায় খুঁজছে, তাই ইসলামি ইমারাতের প্রতি এধরণের সমর্থন তথা আফগানিস্তানের অন্তর্ভুক্তি ভবিষ্যতের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে দেশটির সম্ভাব্য ভূমিকার ইঙ্গিত দিচ্ছে।