শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনের কার্যক্রম ও দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে’ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন হয়েছে।
সেই সম্মেলনে র্ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, বিএনপিই আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাচ্ছে, সেই নিশ্চয়তা তারা কোথায় পেলেন? আবার তারা ক্ষমতায় গেলেও জনতার কাঙ্খিত সংস্কার করবেন তার নিশ্চয়তা কি? সেজন্যই আমরা আগে সংস্কার, স্বৈরাচারের উত্থানরোধে সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন তারপরে নির্বাচন আয়োজনের আলাপ তোলার জন্য সবার প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন বলেন, আগামীতে যাতে কোনো স্বৈরাচারের উত্থান না হয় সেজন্যই আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। গত ১৬ বছর ধরে এই পদ্ধতির দাবি জানিয়ে আসছি। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এর পক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করছে। তাদেরকে বলব, ক্ষমতা যাতে কোনো একক দলের হাতে একিভূত না হয় সেজন্যই পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি, আপনারা যেমন রাজনৈতিকভাবে স্বৈরাচারবিরোধী তেমনি মানসিক ও পদ্ধতিগতভাবেও স্বৈরতন্ত্র বিরোধী। তাই যদি হয় তাহলে আপনারাও পিআর পদ্ধতির প্রতি সমর্থন জানাবেন বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী এক বা দেড় বছরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা উচিত। তাদের সুনির্দিষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপের বিষয়ে বলা উচিত। কারণ সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক দল নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে, তাই পরিষ্কার করা জরুরি।
অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি নির্বাচনী পরিকল্পনা ঘোষণার দাবি জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, অনিশ্চয়তা ও শূন্যতা নানা ধরনের জটিলতা ও অপলাপের জন্ম দেয়। তা রোধ করার জন্য নির্বাচনের সুষ্ঠু ও অবাধ পরিস্থিতি তৈরিতে করণীয় নির্ধারণ, তার জন্য সময়সীমা ঠিক করে একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন ঘোষণা করা হলে সবার জন্য কাজ করা সহজ হবে।
তিনি বলেন, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চরম বিতর্কিত উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে জনগণ মেনে নেয়নি। ফারুকীকে দ্রুত উপদেষ্টা পরিষদ থেকে প্রত্যাহার করা হোক, তা দেশবাসী প্রত্যাশা করে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুহাম্মাদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম ও সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।