দিল্লি হাইকোর্ট জানাল রানি লক্ষ্মীবাঈ কোনও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব নয়। স্বাধীনতা সংগ্রামী। পার্কের এক কোণে তাঁর মূর্তি থাকলে অসুবিধা কেন হবে। তাছাড়া কমিটির দাবি ছিল এটা ওয়াকফ সম্পত্তি আর সেই সম্পত্তিতে জবর দখল চলতে পারে না। কিন্তু হাইকোর্ট সেই যুক্তি মানতে চাইল না। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ঈদগাহ পার্কে এই মূর্তি বসানো নিয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি তাই ঈদগাহ কমিটি ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে ছিল।
কিন্তু কমিটির আইনজীবী আদালতে জানান উভয় পক্ষের মধ্যে কোর্টের বাইরে সমঝোতা হয়েছে তাই এই মামলা আর চালানো হবে না। হাইকোর্ট আর্জি খারিজ করে দেওয়ায় আপাতত দিল্লির ঈদগাহ পার্ক বিতর্ক স্তিমিত হয়ে গেল। যদিও কমিটির আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন এই ময়দান মুঘল আমল থেকে নামায পড়ার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ এখানে একসঙ্গে নামায আদায় করতে পারেন। সরকারি গেজেটেও ১৯৭০ সালে প্রকাশিত হয়েছে যে এটি ঐতিহাসিক ও প্রাচীন সম্পত্তি। এই বিশাল ফাঁকা ময়দানটি দাবি করতে থাকে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। হাইকোর্টের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এবং ডিডিএ-র নির্দেশের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হয়ে গেল ওয়াকফ সম্পত্তি প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারে প্রশাসন। তেমনই প্রমাণ হয়ে গেল এখানে নামাযে কোনও প্রকার বাধা সৃষ্টি হবে এমন কোনও কাজ করা যাবে না। তবে ঈদগাহ কমিটি জানিয়েছিল তারা মহারানি লক্ষ্মীবাঈকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে কিন্তু ওয়াকফ সম্পত্তি জবরদখল একটি অন্য বড় ইস্যু। ডিডিএ এই মূর্তির জন্য পার্কের মধ্যে আলাদা ব্যারিকেড করে দিয়েছে মামলা চলাকালীন। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ স্থগিতাদেশ না দেওয়ার ফলে ঈদগাহ কমিটি আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু কোনও কারণে ডিডিএ-র সঙ্গে সমঝোতা করে ঈদগাহ কমিটি বিতর্কে ইতি টানতে চাইল বলে মনে করা হচ্ছে।