তাবলিগের উভয়পক্ষকে এক করতে উদ্যোগ নিচ্ছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৩য় সভায় এ কথা জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন,
আগামী জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তবে ডেট এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। বিশ্ব ইজতেমা কিভাবে ভালোভাবে হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন বিশ্ব ইজতেমা সাত থেকে আট বছর একটা গ্রুপ ছিল। এখন দুইটা গ্রুপ হয়ে গেছে। তাদের ভেতরে কিছু মতেরও পার্থক্য আছে। আমরা তাদের সাথে বসবো যাতে তারা সবাই একটা ঐকমত্যে আসতে পারেন। এটা খুবই ভালো একটা অনুষ্ঠান, আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য বিরাট একটা অনুষ্ঠান। এখানে বহু হুজুর যান এবং বহু দিকনির্দেশনা আসে। আমরা তাদেরকে অনুরোধ করব। যেহেতু তারা মুরুব্বি সমাজকে দিকনির্দেশনা দেবেন। আমরা তাদের বলবো আপনাদের নিজেদের ভেতরে যে সমস্যাটা রয়েছে সেটা নিজেরা সমাধান করতে পারলে আমাদের জন্য ভালো। আর যদি নিজেরা সমাধান করতে না পারেন তাহলে আমরা বসতে পারি, কীভাবে সমাধান করে অনুষ্ঠানটি ভালোভাবে করা যায় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সভায় সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে করণীয়; বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়; সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও জঙ্গি প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ; অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনাসহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে আরও সচেষ্ট হওয়া, আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারী ও অপরাধীদের গ্রেফতার কার্যক্রম জোরদারকরণ, বিভিন্ন অপরাধী ও আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ, বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার বিষয়ে আন্দোলন-সমাবেশকারীদের রাস্তায় সমাবেশ না করে দাবি-দাওয়া এ সংক্রান্ত সরকারি কমিটি/কমিশনে পেশ করা, জনভোগান্তি দূর করতে শাহবাগের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের এ বিষয়ে গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জনসাধারণকে জানানো, জামিনে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা অপরাধে লিপ্ত হলে দ্রুত গ্রেফতারের ব্যবস্থা গ্রহণ, ইত্যাদি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।