ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এ প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
এদিকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা ২৪ এর অভ্যুত্থানের অন্যতম একটি অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি আবু সাদিক কায়েম। বুধবার দিবাগত রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন,
আমরা দেখে আসছি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী রেজিমে ছাত্রলীগ কী রকম ভয়ানক রূপ ধারণ করেছিল। খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ক্যাম্পাস দখল, ছাত্র-শিক্ষক নির্যাতনসহ অপরাধের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে তাদের বিচরণ ছিল না। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে শহীদ নোমানী, আবুবকর, বিশ্বজিৎ, আবরারকে কি ভয়ানকভাবে শহীদ করেছে ছাত্রলীগ। সর্বশেষ চব্বিশের বিপ্লবে শতসহস্র ভাই-বোনকে পৈশাচিকভাবে রক্তাক্ত করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে যা বাংলাদেশের ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম কালো অধ্যায়। জুলাইয়ে শহীদ হওয়া নাসিমা, তরুয়া, ওয়াসীম, আবু সাঈদ, আলী রায়হান, মুগ্ধ, শান্তরা আমাদের চোখের সামনেই হারিয়ে গেল অন্তিম ঠিকানায়।
সব অপরাধী ও সমর্থনকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু নিষিদ্ধ নয়, যারা খুন, ধর্ষণ, গণহত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত ছিল ও সমর্থন দিয়ে গেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পরে যেন দেশকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে না পারে সেদিকে ছাত্রজনতা ও সরকারের সচেতন দৃষ্টিই জাতির একান্ত প্রত্যাশা।